মো:সাইফুল ইসলাম
সিলেটের চেঙেরখাল নদী থেকে গভীর রাতে বালু লুট করছে একটি স্হানীয় চক্র।ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন রাত ১২টার পর থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত এই লুটপাট চলে। চেঙেরখাল নদী তীরবর্তী ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়নের আলীনগর,গণকিরটুক
মটরঘাট,ঘোড়ামারা ছড়ারমুখ,চৌধুরীপাড়সহ গোয়াইনঘাট উপজেলার জলুরমুখ,লেঙুড়া প্রভৃতি স্থানে ঘটে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড।
সরজমিনে গভীর রাতে খাদিমনগর ইউনিয়নের আলীনগর গিয়ে দেখা যায় লুটপাটের এই করুণ দৃশ্য। এসময় প্রতিবেদক ভিডিও করতে গেলে স্হানীয় বালু লুটেরা রইছ আলীর পুত্র রুবেল,হোসন,ঘোড়ামারা গ্রামের জাহাঙ্গীর,শেলুসহ কয়েকজন উশৃংখল যুবক বাঁধা দিতে তেড়ে আসেন এবং প্রতিবেদকের মোবাইল কেড়ে নিতে চেষ্টা করেন।এসময় প্রতিবেদক জায়গা থেকে ছিটকে পড়েন এবং আংশিক তথ্য সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিক ফিরে আসেন।স্হানীয় সূত্র জানায়,বাদাঘাট ও ছাতক থেকে আসা ড্রেজার মেশিন দিয়ে একটি স্হানীয় চক্র দীর্ঘদিন ধরে প্রতিরাতে ১৫থেকে ২০টি নৌকা লুড করে দিয়ে প্রচুর টাকা কামাই করছে।
এসব অবৈধ বালু উত্তোলনে স্হানীয়দের নিয়ন্ত্রণ করে উপর মহলে এমন একটি সিন্ডিকেট রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে,তাদের নাম বলেনি স্হানীয় সূত্র।সূত্র জানায়,যদি এগুলো বলি তাহলে আমাদের
গ্রামে অসুবিধা হবে, রক্তপাত হবে।তথ্যঅনুসন্ধানে জানা যায়,প্রতিটি নৌকা লুড দিয়ে ৪থেকে ৫হাজার টাকা নেন সিন্ডিকেটের সদস্যরা।যাতে ঘটনাস্থলে কেউ না যেতে পারে সেজন্য রাতভর নদী তীরও রাস্তায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে পাহারায় থাকে সিন্ডিকেটের সদস্যরা।রাতভর এই লুটপাটে প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই বলেই জানান একাংশের স্হানীয় কয়েকজন লোক।
এসময় তাদের কয়েকজনকে বালু উত্তোলনে সরকারি কোন বৈধ্য ইজারা আছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন,সরকার কী? এখানে আমাদের জায়গা, আমাদের এলাকা।আমরাই সরকার। এভাবেই উশৃংখল বেশে রাতের গভীরে বালু লুট করছে চক্রটি।
প্রতিবেদকের কাছে বালু লুটের ভিডিও ফুটেজসহ প্রমাণ রয়েছে।
(পরবর্তীতে চোখ রাখুন “দৈনিক আমার সিলেটে”)





