বিএসএফের আটকের পর১৩ বাংলাদেশী ভারতীয় কারাগারে

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সিলেটের জাফলংয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ১৩ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করেছে ভারতের মেঘালয়ের ডাউকি জুনের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। প্রথমে বর্ডার গাড বাংলাদেশ (বিজিবি) অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে তা স্বীকার করে। তবে আটককৃতদের পরিবার মুখ খুলতে রাজি হচ্ছে না।
জাফলং-তামাবিল পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধীনস্থ তামাবিল বিওপি’র নিকটবর্তী ১২৭৪/৭ এস পিলার অতিক্রম করে সোনাটিলা নামক সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে ভারতীয় চিনি আনতে গেলে চিনির গুদাম থেকে ১৩ বাংলাদেশী শ্রমিককে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় বিএসএফ ৪/নানকিং বিএসএফ ক্যাম্প সদস্যরা। বাংলাদেশী  চোরাকারবারি প্রদানরা ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী ১৩ নাগরিক আটকের খবর জানতে পারলে ভারতীয় চোরাকারবারির প্রদানদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তবে বাংলাদেশী চোরাকারবারিরা তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবিকে জানায়নি।

গোপনে গোপনে আটককৃতদের ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করলে ভারতীয় চোরাকারবারিরা ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের বাংলাদেশী নাগরিকদের ছেড়ে আনতে হলে ৯ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাংলাদেশী চোরাকারবারিরা টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদেরকে ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশী ১৩ নাগরিক ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জুয়াই কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্ধী রয়েছেন। তাদের পরিবারের সদস্যরা দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। এরই মধ্যে কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা চোরাকারবারি চক্রের প্রদানদের নিকট ছুটতে দেখা যায়, তাতেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না পরিবার গুলো ।
আটককৃতরা হলেন- জৈন্তাপুর উপজেলার ফখরুল ইসলামের ছেলে সাজু আহমদ (২০), গোয়াইনঘাট উপজেলার বারহাল গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে শামীম আহমদ (২১), একই গ্রামের সিদ্দিক আলীর ছেলে হাবিব আহমদ (২২), জাফলং তামাবিল এলাকার মতিন মিয়ার ছেলে নয়ন আহমদ (১৯), জৈন্তাপুর উপজেলার মোস্তফা মিয়ার ছেলে সজিব আহমদ (১৯), একই উপজেলার গুচ্ছগ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে মোবারক হোসেন (১৯), ইলাল মিয়ার ছেলে আরিফ আহমদ (১৯), দুলতিপুর গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম (১৯), শ্রীপুর গ্রামের জামরুল মিয়ার ছেলে মোঃ রুবেল (২৫), জৈন্তাপুরের বিল্লাল হোসেনের ছেলে রুহুল (২০), গুচ্ছগ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে রনি (১৯) ও একই এলাকার বাসির মিয়ার ছেলে সোহাগ (১৯)।আপর একজনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ হাফিজুর রহমান পিএসসি বলেন, ভারতের ০৪ বিএসএফ এর কমাড্যান্টের সাথে আলোচনা হয়েছে । বিএসএফ জানায় (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৪ টায় বাংলাদেশের তামাবিল এলাকার বিপরীতে ভারতের ডাউকি এলাকায় ১৩ জন বাংলাদেশী নাগরিককে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের অভিযোগে আটক দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে তাদেরকে জিঙ্গাসা বাদ শেষে ডাউকি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় বিএসএফ।